প্রিয় সবাই,
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের সহকারি সচিব ও কম্পিউটার অপারেটর পদে ইউআইএসসি উদ্যোক্তাদের নিয়োগের দাবিতে ইউআইএসসি উদ্যোক্তা কর্তৃক দেশব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলন ব্লগের মাধ্যমে আমাদের নজরে এসেছে। উদ্যোক্তাগণ আগামী ২৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। ইউআইএসসি উদ্যোক্তাদের এ দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তারা ট্রেড ইউনিয়নের মতো আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করতে পারেন না। কারন, প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশীপের (পিপিপি) ভিত্তিতে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদে ইউআইএসসি স্থাপন করা হয়। ইউআইএসসি স্থাপনের শুরু থেকেই বলা হয়েছিল যে, এটি প্রাইভেট উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিচালিত হবে, অর্থাৎ উদ্যোক্তাকে কোন বেতন-ভাতা প্রদান করা হবেনা এবং তিনি সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদানের মাধ্যমেই অর্থ উপার্জন করবেন। সুতরাং ইউআইএসসি উদ্যোক্তাদের সরকারিকরন বা সরকারি চাকুরীতে নিয়োগদানের দাবি কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়, বরং এটি ইউআইএসসি মডেল ও চেতনার সংগে সাংঘর্ষিক।
২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউআইএসসি পরিচালনা সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে। সে পরিপত্রের ১.৪. ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, প্রয়োজন অনুযায়ী উপকরণ বাড়াতে উদ্যোক্তা নিজে বিনিয়োগ করবেন। পরিপত্রের ১.৬. ধারায় উল্লেখ আছে, উদ্যোক্তা কোন বেতনভুক্ত কর্মচারী নন বিধায় ইউআইএসসিকে সচল রাখা, আয় বৃদ্ধি ও টেকসইকরণের ক্ষেত্রে তিনি সকল প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
যেসব উদ্যোক্তা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশীপের শর্ত ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিপত্র মেনে কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে রাখা যেতে পারে। আর যারা এ সকল শর্ত মেনে কাজ করতে রাজী নন, তাদেরকে পরিবর্তন করে নতুন উদ্যোক্তা নিয়োগ করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।
এ বিষয়ক একটি চিঠি সকল জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পাঠানো হয়েছে (সংযুক্ত)। পাশাপাশি ইউআইএসসি পরিচালনা বিষয়ক স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রটি সবার অবগতির জন্য সংযুক্ত করা হলো।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস